পঁচিশে ডিসেম্বর কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছিল সত্যিকারের এক মিলনমেলা। প্রৌঢ়, যুবক, তরুণ, বাবা-পুত্র কারা ছিলনা এতে? সাত সাগর তের নদী পেরিয়ে নীড়ের টানে অনেকেই মিলিত হয়েছেন কয়েক যুগ পর, ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পুনর্মিলনীতে যোগ দিতে ছুটে এসেছেন অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আমেরিকা থেকে। ১৯৫০ সালের মেট্রিকুলেশন পাশ করা প্রৌঢ় যেমন রোমঞ্ছন করেছেন ফেলে আসা স্কুলজীবন, একইভাবে গতবছর পাশ করা তরুণ ও অশ্রুকাতর হয়েছেন প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরে এসে।
সফল এ আয়োজনের নেপথ্যে আয়োজকদের দিতে হয়েছে অনেক শ্রম, অর্জন করতে হয়েছে আস্থা।
গেল বছরের ডিসেম্বরের এগার কি বার তারিখ রাতে অজানা নম্বর (আমেরিকা) থেকে একটি ফোন আসল। পরিচয় দিল ব্যারিস্টার জি আর মাহমুদ, কসউবি ৭০ ব্যাচের। উনি বাংলাদেশ আসবেন এবং আমাদের প্রোগ্রামে অংশ নিবেন। বললাম- আমাদের তো নিবন্ধন সময় শেষ। (৫ ডিসেম্বর ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন) মনে হল – শুনে একটু কষ্ট পেয়েছেন। পরক্ষণে বললাম – দেখি চেষ্টা করে। পরের দিন অনেকটা জোর খাটিয়ে উনার নিবন্ধন করিয়ে নিলাম। ভদ্রলোক আটত্রিশ বছর ধরে প্রবাসী এবং আমেরিকাতে এর্টনি এট ল। অনুষ্টানের টানে আসতে চাইছেন।
এরকম অনেক জি আর মাহমুদের অভুতপূর্ব সাড়া আমাদের কে স্পন্দিত করেছে, উৎসাহ যুগিয়েছে। সত্যিকারের একটি পুনর্মিলনী উদযাপনে আমাদেরকে আলোড়িত করেছে।
অথচ অনুষ্টানের কয়েক সপ্তাহ আগেও আমাদের পথচলা মসৃণ ছিলনা। পাড়ি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ।
সাইদ বিন জেবরের কথাই বলি। আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব। দুহাজার দশ সাল থেকে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবছরের গৌরবুজ্জল ইতিহাসকে সামনে রেখে একটি গেট টুগেদার করার। মনে পড়ে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোন এক দিন আমরা আলাপ করছিলাম। বলল- চলেন ৯০ পরবর্তী ব্যাচ নিয়ে বসি, কিছু একটা করি। হতে পারে এল্যুম্নাই এসোসিয়েশন টাইপ কিছু একটা । বসলাম, চা খেলাম, আড্ডা দিলাম। সিদ্দ্বান্ত হল ৭১ পরবর্তী ব্যাচ নিয়ে বসি। ২০১১ তেই ৭১ থেকে ২০১০ এস এস সি ব্যাচ পর্যন্ত প্রতি ব্যাচের দু/তিনজন প্রতিনিধি নিয়ে সভা করলাম। সিদ্ধান্ত হল একটি প্লাটফর্ম করার। ২০১২ র একুশে ফেব্রুয়ারি স্কুলের শহীদ মিনারে ফুল দিল প্রাক্তন ছাত্ররা। এরপর বিভিন্ন কারণে আর এগুলনা। ২০১৬ র জানুয়ারীর শেষদিকে সাইদ আবার ফোন দিল। তন্মোধ্যে প্রিপারটারি স্কুল আর রামুর খিজারি স্কুল পঞ্জাশ বছর উদযাপন করে ফেলেছে। আমাদের স্কুলের ১৪২ বছর হয়ে গেল , আমরা এখনো একত্রিত হতে পারলাম না। ফেব্রুয়ারী তেই মিটিং ডাকা হল। এগিয়ে আসলেন তারেক ভাই (৯১), জিয়া(৯৮), রিয়াজ ভাই(৯৫), আশিক(০১) সহ অনেকেই।
ভাবা শুরু হল। বারোয়ারী কোন প্রোগ্রাম করবোনা। এমন কিছু করতে হবে – যাতে স্কুল উপকৃত হয় আর মানের দিক থেকে যাতে সর্বোচ্চতা থাকে। মিটিং ডাকা হল। নব্বই, দুহাজার দশকের অনেকেই স্কুলে আসল। মতৈক্য হল- ঈদের পর পুনর্মিলনী হবে। যেনতেন ভাবে প্রচার করলে হবেনা। নক করলাম ০৯ ব্যাচের জাহিন কে। গতবছর সে ক্রিয়েটিভ ফিল্মে আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড পেয়েছে। বললাম- পুনর্মিলনী ২০১৬ এর নব্বই সেকেন্ডের প্রমো ভিডিও বানাতে হবে। সাইদ, জাহিন মিলে ওদের প্রোডাকশন টিম সহ শ্যুটিং করল স্কুলে। ততোধিনে হেডস্যার রাম মোহন স্যার কেও রাজি করানো হল। কিন্তু মনে হচ্ছিল- ভদ্রলোক ভিতরে ভিতরে আস্থা পাচ্ছেন না। আমরা আরো কিছু যুবক মস্তিস্কের শ্রম দেওয়া শুরু করলাম- এনাম, সাফায়েত, আবির, রিয়াজ ভাই, জিয়া, তারেক ভাই প্রমুখ। সাইদ শ্রম, মেধা দিয়ে সমন্বয় করেই যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে গুগল ফর্মের মাধ্যমে ইনপুট নিয়ে প্রাক্তন ছাত্রদের একটি ডাটাবেইজ তৈরী করে ফেলি। আমাদের ফেসবুক গ্রুপের এল্যুম্নাই সংখ্যা দেড়হাজার স্পর্শ করে। হাজার খানেক প্রাক্তন ছাত্র অনলাইনে তথ্য প্রদান করে ইতিমধ্যে। মাঝেমধ্যে ফোন কনফারেন্স, নেটওয়ার্কে শেয়ারড ফাইলের মাধ্যমে প্ল্যানিং রিভিও – এভাবেই চলল মে, জুন পর্যন্ত। বুঝে গেছি- ঈদে প্রোগ্রাম নামানো সম্ভব না, কারণ- বর্ষা এবং খুব অল্প সময় হাতে। ঈদের পর রিভিও মিটিং ডাকা হল। আশির দশকের অনেকেই আসল। শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হল পুনর্মিলনী হবে ২৫ডিসেম্বর স্কুল প্রাঙ্গণে।
কোরবানির ঈদের পর সেপ্টেম্বরের আট তারিখ আবার বসলাম। বাজেট রিভিও হল- রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত হল ১০০০ টাকা জনপ্রতি। অঘোষিত কাজ শুরু হয়ে গেল। নেটওয়ার্কিং করা শুরু করলাম। সাইদ, আশিক, সৌরভ, আদিব মিলে দেখা করল প্রাক্তন, প্রবীন ছাত্রদের সঙ্গে। এর মধ্যে ৫২ ব্যাচের ডাক্তার কবির, ৫৭ ব্যাচের আবুল কালাম আজাদ, ৬২ ব্যাচের সোমেস্বর চক্রবর্তী, ৬৬ ব্যাচের সিরাজ স্যার, ছৈয়দ স্যার, ৬৯ ব্যাচের অধ্যক্ষ উমর ফারুক প্রমুখ। সত্তর দশকের মধ্যে প্রোগ্রাম আপডেট দিই ৭৫ ব্যাচের মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান , ৮২ ব্যাচের লুতফুর রহমান কাজল ও ৮৭ ব্যাচের আশেক রফিকুল্লাহ এম পি কে। আশেক ভাই সব শুনে উচ্ছসিত হল ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিল।
অক্টোবরের ত্রিশ তারিখ সমন্বয় সভা ডাকা হল। বিরাশি ব্যাচের রাশেদ মোঃ আলি, ডাঃ নুরুল আলম, বাহাদুর শাহ তিরাশি ব্যাচের রফিকুল ইসলাম সহ নব্বইর দশকের প্রায় আশি জন উপস্থিত ছিলেন। নিবন্ধনের প্রক্রিয়া ও অনুষ্টানের ধরণ নিয়ে বিস্তর প্রতিবেদন তুলে ধরলাম। সিদ্ধান্ত হল আবার বসতে হবে সব ব্যাচের প্রতিনিধি নিয়ে। সাইদের নেতৃত্বে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। সিনিয়রদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন তারেক ভাই। নভেম্বরের এগার তারিখ চুড়ান্ত সমন্বয় সভা ডাকা হল । সত্তর,আশি,নব্বইর দশকের প্রতি ব্যাচের কোর্ডিনেটর রা উপস্থিত ছিলেন ঐ সমন্বয় সভায়। সিদ্ধান্ত হল নভেম্বরের পনের থেকে নিবন্ধন শুরু হবে, চলবে ত্রিশ তারিখ পর্যন্ত। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি সমন্বয় সভায় চেষ্টা করেছি সঠিক তথ্য ও উপাত্ত ডিজিটালি তুলে ধরার।
ব্যাংকিং পার্টনারের হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের ম্যানেজার ৯৫ ব্যাচের আহসান ভাই। রেজিস্ট্রেশন সমন্বয়ে লিড নিলেন ০১ ব্যাচের আশিক। হোসেন ব্রাদার্স ও জেলা প্রশাসক ভবনে শুরু হল নিবন্ধন কার্যক্রম। অনলাইনে ও চলতে থাকল রেজিস্ট্রেশন। এক ঝাক তরুণ (নাজমুল, তকি, ইয়ামিন, ) শ্রম দিয়েই যাচ্ছে। স্পন্সর পলিসি রেডি করা হল। জিয়া, আহসান ভাই স্পন্সর সমন্বয় করা শুরু করল। প্রথম থেকেই অংগীকার ছিল অর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা থাকে। এ দিকে আশিক ভাইয়ের নেতৃত্বে সংসদ ও সচিবালয়ে আমন্ত্রণ ও প্রকাশনার জন্য বাণী সংগ্রহ করা শুরু হল। বাংলাদেশে খুব কম স্কুলের পুনর্মিলনীতে প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কসউবি ২০১৬ তে বাণী দিয়েছেন যেখানে কসউবি র গৌরবুজ্জল ইতিহাসকে স্নরণ করেছেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী শেষমুহুর্তে এসে পৌছায় প্রকাশনায় সংযুক্ত করা যায়নি।
এতবড় আয়োজন, তারউপর প্রথম বার। ডিসেম্বরের পনের তারিখের মধ্যে নিবন্ধন করল ১৮১৯ জন। শতাংশ হিসেবে পঞ্জাশ/ষাটের দশক থেকে দশ শতাংশ, সত্তর দশক থেকে দশ শতাংশ, আশি/নব্বই দশক থেকে পঞ্জাশ শতাংশ ও দুহাজার পরবর্তী ত্রিশ শতাংশ নিবন্ধন করল। এত ব্যাপক সাড়া কিছুটা অপ্রত্যাশিত হলে ও আমরা আত্নবিশ্বাসী ছিলাম আয়োজন সফলের ব্যপারে। আমাদের আন্তরিক ও হৃদয়াপ্পুত কৃতজ্ঞতা নিবন্ধিত প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতি।
প্রায় দেড়শত বছরের প্রতিষ্টানের প্রথম পুনর্মিলনীর অভিভাবকের দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্টার সঙ্গে পালন করেছেন ৬২ ব্যাচের অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী স্যার। সাথে সিরাজ স্যার (৬৬) দিয়েছেন হৃদয়স্পর্শী পরামর্শ ও নির্দেশনা। সোমেশ্বর স্যার – সিরাজ স্যার এর আন্তরিক দিক নির্দেশনা সফল আয়োজনের অন্যতম হাতিয়ার। রাজনীতিবিদ তকমা ছাপিয়ে প্রাক্তন ছাত্র ও বড় ভাই হিসেবে আশেকুল্লাহ রফিক (এম পি) [৮৭ ব্যাচ] ভাই আমাদের প্রতি মুহুর্তে পরামর্শ দিয়েছেন। ৭৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র লেঃ কর্ণেল ফোরকান, মুজিব চেয়ারম্যান (৭৫ ব্যাচ) প্রস্তুতি সভাতে উপস্থিত থেকে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। সিনিয়র দের মধ্যে সেতুবন্ধনে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছেন ৬৯ ব্যাচের মোহাম্মদ উমর ফারুক । ৮২ ব্যাচের লুতফুর রহমান কাজল দেশের বাইরে থাকায় অনুষ্টানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও উৎসাহ যুগিয়েছেন আমাদের। উল্লিখিত নামগুলোর মধ্যে সোমেশ্বর স্যার আহবায়ক ও বাকিরা যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে প্রকাশনা “হাইস্কুল” সম্পাদনা করেছেন ০০ ব্যাচের ইয়াসির ও সহ সম্পাদনা করেছেন ১০ ব্যাচের সৌরভ দেব। এক ঝাক তরুণ এই প্রকাশনার জন্য এক মাস ধরে শ্রম দিয়েছে। হাইস্কুলের ১৪২ ব্যাচের ইতিহাস কে সমন্বিত করতে পড়েছেন অজস্র রেফারেন্স বই, সাক্ষাৎ নিয়েছেন প্রথিতযশা সিনিয়র প্রাক্তন ছাত্রদের। অনেক ভাল লিখা প্রকাশনাতে ছাপানো সম্ভব হয়নি জায়গা স্বল্পতার কারণে। প্রকাশনার প্রস্তুত কপি তে শেষ মুহুর্তে চোখ বুলিয়েছেন শ্রদ্ধেয় সোমেশ্বর স্যার। প্রকাশনার ভুলগুলি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকবে সবার প্রতি।
প্রথম থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল একটি মান সম্মত ও মনে রাখার মত অনুষ্টান আয়োজনের। এরই অংশ হিসেবে প্রামাণ্য চিত্রের আইডিয়া ছিল। “একজন মানুষের জীবনের অন্যতম সময় হচ্ছে তার স্কুলজীবন আর আমাদের এই সময়কে উপভোগ্য করিয়েছে কসউবি” এই থিমের উপর প্রামাণ্য চিত্র “প্রিয়তমেষু ইশকুলবেলা”। এতে নিজেদের শৈল্পিকতা ও সৃষ্টিকর্মকে তুলে ধরেছে জাহিন ও নাসিফ। সময় স্বল্পতার কারণে আমরা অনেক প্রবীণ ছাত্রদের প্রামণ্য চিত্রের অংশ করতে পারিনি। এসব অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা অনুতপ্ত। প্রাইভেসির কথা চিন্তা করে প্রকাশনার ডিরেক্টরি তে আমরা সবার ফোন নম্বর না দিলেও আলাদা ফোন ডিরেক্টরি প্রকাশ করেছি। ৯৮ ব্যাচের সিফাত একাই এই ডিরেক্টরি সম্পাদনায় কাজ করেছেন।
এতবড় আয়োজনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল নিরাপত্তা ও খাবার পর্ব। সার্বজনীন খাবার পরিবশনা নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে ইয়ামিন শিবলি, জিয়া, আহছান ভাই, শোয়েব ভাই রা। গণমাধ্যম সমন্বয়ে সৌরভ দেবকে সবসময় গাইড করেছেন ৮৮ ব্যাচের সোহেল ভাই (বিটিভি)। নিরাপত্তার সংশ্লিষ্টতায় প্রশাসন আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন সবসময়।
অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছি- সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে আমরা সবার মনজয় করতে পারিনি। খোকন ভাই (৯৫ ব্যাচ) নিজেকে শপে দিয়েছেন শেষ মুহুর্তে। তথাপি, একটি সুশৃংখল ও আধুনিক অনুষ্টান আয়োজনে আমাদের আন্তরিকতা ছিল। ছিল প্রানান্ত চেষ্টা। পঁচিশে ডিসেম্বর ক্ষণে ক্ষণে যখন বন্ধুরা পুরনো বন্ধুদের খুঁজে পেয়ে স্নৃতিকাতর হচ্ছিল- সেই কাতরতা আমাদের ও কিঞ্ছিত অশ্রু সজল করেছে আনন্দের বার্তা নিয়ে।
আমাদের মনে ধারণা জন্মেছে “শতবর্ষের কোলাহলে – এক সাথে সকলে” স্লোগান কে আমরা বুপিত করতে পেরেছি ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ দিনজুড়ে।
অনুষ্টান সংস্লিষ্ট সবাইকে আমাদের হৃদয় নিঙড়ানো কৃতজ্ঞতা।
মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম কসউবি পুনর্মিলনী ২০১৬ উদযাপন পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়কারী।
Read Full Post »